ভুলভাল জায়গায় বরবাদ না হয়ে পোস্ট অফিসের নতুন স্কিমে সরকারি ভরসায় টাকা ডবল করুন অল্প সময়ে !

নিজের দৈনন্দিন খরচাকে পেরিয়ে সাধারণ মধ্যবিত্ত মানুষ কিছু একটা টাকা ভবিষ্যতের জন্য বাঁচিয়ে রাখতে চাই। কারণ সাধারণ মধ্যবিত্তের তো আর দেওয়াল ভাঙলে কোটি কোটি টাকা বেরোবে না। তাই সাধারণ মধ্যবিত্তকে সবসময় ভবিষ্যতের কথা ভেবেই চলতে হয়, যে ভবিষ্যতে কি করে সংসার টা চলবে। কিন্তু বিভিন্ন রকম চিট ফান্ডের চক্করে পড়ে সাধারণ মধ্যবিত্ত খেতে খাওয়া মানুষকে বিগত কয়েক বছর ধরে কিভাবে হয়রানি হতে হয়েছে সেটা পশ্চিমবঙ্গের মানুষ খুব ভালোভাবেই জানে। তাই যেকোন রকমের ভুলভাল চিটফান্ডের মত জায়গাকে ছেড়ে সরকারি সংস্থা যেমন পোস্ট অফিসের মত জায়গায় ভালো স্কিমের সাথে ইনভেস্ট করলে অবশ্যই আপনি লাভ করবেন। পোস্ট অফিসের পাঁচটি স্কিমের কথা আজকে জানাবো যেখানে আপনি ইনভেস্ট করলে অবশ্যই লাভবান হবেন।

1. ন্যাশেনাল সেভিংস স্কিম:

ন্যাশনাল সেভিং স্কিমের মেয়াদ হল 5 বছর। সরকারি স্কিম হওয়ায় এই স্কিমে বিনিয়োগের ঝুঁকি খুবই কম৷ ন্যাশেনাল সেভিংস স্কিম বিনিয়োগের কোনও উচ্চ সীমা নেই। তবে বিনিয়োগের সর্বনিম্ন সীমা হল 1000 টাকা৷ ভালো রিটার্ন ও টাকার নিশ্চিত সুরক্ষার জন্য ন্যাশেনাল সেভিংস স্কিম অনেকের কাছেই টাকা জমাবার প্রথম পছন্দ।

```

2. পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড:

পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড একটি দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ পরিকল্পনা। পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড বেতনভোগী বিনিয়োগকারীদের মধ্যে খুব জনপ্রিয়। পিপিএফ-এর সুদের হার বার্ষিক চক্রবৃদ্ধি হারে দেওয়া হয়ে থাকে। ফলে এই প্রকল্পে রিটার্নও বেশি পাওয়য়া যায়। ভারত সরকারের সমর্থিত হওয়ায় পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ডে বিনিয়োগে কোনও ঝুঁকি নেই। এতে 500 টাকা থেকে 1.5 লাখ টাকা বিনিয়োগ করা যায়। বিনিয়োগটি 80C-এর অধীনে ছাড়ের জন্য যোগ্য।

3. পোস্ট অফিস টাইম ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট –

পোস্ট অফিস টাইম ডিপোজিটের বিভিন্ন মেয়াদ রয়েছে। এতে সর্বনিম্ন বিনিয়োগ 1000 টাকা এবং কোন উচ্চ সীমা নেই। অ্যাকাউন্টধারীর সেভিংস অ্যাকাউন্টে বার্ষিক সুদ জমা হয়। 1961 সালের আয়কর আইনের ধারা 80C অনুযায়ী 5-বছরের টাইম ডিপোজিট-এর ক্ষেত্রে কর ছাড় পাওয়া যায়।

```

4. সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা:

একটি সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা অ্যাকাউন্ট একটি কন্যা শিশুর নামে খোলা যেতে পারে। মেয়েটি 18 বছর বয়স হলে অ্যাকাউন্টের মালিকানা পায়। স্কিমটিতে প্রতি আর্থিক বছরে সর্বনিম্ন 250 টাকা এবং সর্বোচ্চ 1,50,000 টাকা জমা দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এই প্ল্যানটি ধারা 80C এর অধীনে কর ছাড় দেয়।

5. সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিম:

সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিম অনুযায়ী সর্বনিম্ন এবং সর্বোচ্চ বিনিয়োগের সীমা যথাক্রমে 1,000 টাকা এবং 15 লাখ টাকা। স্কিমটির একটি পাঁচ বছরের মেয়াদ রয়েছে যা অতিরিক্ত তিন বছরের জন্য বাড়ানো যায়। 55 বছর থেকে 60 বছরের ব্যক্তিরা এতে বিনিয়োগ করতে পারেন।